কচুয়ায় গ্যাস সংযোগ নিয়ে বাণিজ্য, গ্রাহকদের হাহাকার
কচুয়ায় ২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। সাচার-পাথৈর ও চাংপুর-শিমুলতলী-মাঝিগাছা গ্রামের প্রায় ৫ কি.মি. গ্যাস সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় চাংপুর গ্রামে কয়েকজন গ্রাহককে গ্যাস ও লাইন ব্যবহারে অনিয়ম থাকায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একি মিত্র চাকমা গ্যাস সংযোগ আইন ২০১০ এর ধারায় বুধবার বিকেলে চাংপুর গ্রামের সরকার বাড়ির কয়েকজনকে এ জরিমানা করেন।
এ সময় কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ভিজেলেন্স এর ডিজিএম ইঞ্জি. আজহারুল আলম জানান, ২০১১ সাল থেকে লাইন দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। যাদের বাড়ির সামনে লাইন রয়েছে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাদের লাইন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের বড় লাইন ২০১১ সালের পরে আর করা হয়নি। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চাংপুর শিমুলতলী-মাঝিগাছা সড়কের প্রায় ২ ইঞ্চি পাইপ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করি। এর আগে সাচারে একটি অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন ও ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রাহকদের অনেকের বই আছে এমন গ্রাহকের লাইন কেন বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম ইঞ্জি. আজহারুল আলম আরো জানান, কিছু গ্রাহকের বই ও কাগজপত্র সঠিক থাকলেও লাইনটি সম্পূর্ন অবৈধ। যারা এ অবৈধ কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ সময় কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশনের ম্যানেজার মো: জসিম উদ্দিন আহমেদ, ম্যানেজার (ইএস) মীর ফজলে রাব্বী ও ম্যানেজার (সিকিউরিটি) শাহআলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে কচুয়র চাংপুর, তেগুরিয়া, যুগিচাপড়, মাঝিগাছা, সাচার, পাথৈর ও চানপাড়া গ্রামে গ্যাস লাইন কেটে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে শত শত গ্যাস গ্রাহকরা। গ্রাহকরা জানান, আমরা টাকা দিয়ে গ্যাস লাইন সংযোগ নিয়েছি। যারা গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে আমাদেরকে ধোকা দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমরা তাদের আইনগত বিচার চাই। হয়তো আমাদের বৈধ গ্যাস লাইন দিবে না হয় আমাদের দেয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে। বর্তমানে গ্যাস সংযোগ দেয়া ঠিকাদাররা গা-ঢাকা দিয়ে ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছেন।