রিজভীর স্বাক্ষর জাল করে কচুয়া উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর জাল করে চাঁদপুর কচুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একটি কুচক্রি মহল, ফ্যাসিস্টদের দোসর অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে রুহুল কবির এর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে বলে জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী নিজেই।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দপ্তর থেকে একপত্রে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কোন স্বার্থান্বেষী কুচক্রি মহল আমার স্বাক্ষর জাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোষ্ট করে। ফেসবুকে পোষ্টকৃত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উল্লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি আমার স্বাক্ষরে বিএনপি’র দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়নি। এটি সম্পূর্ণরুপে বানোয়াট ও ভুয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রচারিত ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এই বিষয়ে বলেন, কচুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এর স্বাক্ষর জাল করে ফ্যাসিস্টদের দোসর ও স্বার্থন্বেষী মহল ফেসবুকে কমিটি বিলুপ্তির ঘটনা প্রচার করে। এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক পত্র মারফত বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
এর আগে রবিবার কচুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির অবৈধ কমিটিকে সর্তকর্তা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা বিএনপি। রবিবার বিকালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সলিম উল্ল্যাহ সেলিমের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির জেলা বিএনপি অনুমোধিত কমিটি ব্যাতিত দলীয় প্যাড ব্যবহার করে কচুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি নামে কেহ কোন দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করলে তাহা দলের গঠনতন্ত্র ও শৃংখলা বিরোধী এবং অবৈধ কমিটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অবৈধ কমিটির নামে কিছু কার্যক্রম করা হয়েছে। যাহা দলের বিভক্তি ও বিভাজন সৃষ্টি করার সামিল এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে দলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ ভাবে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানানো হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হলে তাহাদেরকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর হিসেবে গন্য করা হবে এবং দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডর জন্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।