ফরিদগঞ্জ গল্লাক কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সাত শিক্ষার্থী আহত
ফরিদগঞ্জ গল্লাক কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই কলেজ ক্যাম্পাসে শ্রেণি পাঠদান ও পরীক্ষা চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন, শিক্ষার্থী কামরুল হাসান (১৮), শাহরিয়ার নাফিস (১৭), ফাহিম (১৯) ও মো.রিফাত মাহমুদ। এছাড়া চান্দ্রা থেকে আসা শিক্ষার্থী রাকিব, নাঈম, ফরহাদ ও সিয়াম।
মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে একদল যুবক কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিছিলের এক পর্যায়ে কলেজের ভবনে তালা মেরে দেয়। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
কলেজ শিক্ষার্থী সানজানা মনির ইভা, মেহেদী হাসান, রাকিবসহ কয়েকজন জানান, ক্লাস চলাকালিন সময়ে বহিরাগতরা কলেজে এসে ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমরা কোন স্যারের পদত্যাগ চাই না। তারা আমাদের কলেজে তালা মেরে দিয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। পরে আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।
কলেজ অধ্যক্ষ হরিপদ দাস জানান, কলেজ শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন আমাকে কলেজ পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন। কিন্তু মঙ্গলবার কয়েকজন যুবক এসে আমাকে নানাভাবে প্রশ্ন করার এক পর্যায়ে হেনস্তার চেষ্টা করে। আমার মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা। পরে গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার জানান, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা সেখানে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের পর গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে কলেজে মিছিল সমাবেশে হয়েছে। এতে করে তিনি ৩ মাস অনুপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক সমীকরণে তিনি কলেজে যোগদান করেন। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে একটি পক্ষ।