কচুয়ায় সড়কে বন্ধ হয়ে গেল চাঁদাবাজি, স্বস্তিতে চালকেরা
মোঃ নাছির উদ্দিন
Link Copied!
কচুয়ায় বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে আজ ১১ আগস্ট পর্যন্ত কচুয়ার বিভিন্ন স্ট্যান্ডে চালকদের কাছ থেকে কেউ চাঁদা আদায় করতে আসেনি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা।
আজ রবিবার দুপুরে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকার সিএনজিস্ট্যান্ডে গিয়ে কথা হয় চালক মান্নানের সঙ্গে। তিনি জানান, বিশ্বরোড সিএনজিস্ট্যান্ডে প্রতিদিন প্রতিটি অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা ও সিএনজি থেকে ৪০ টাকা চাঁদা তুলা হতো। এই টাকা যেত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পকেটে। ৫ তারিখের পর থেকে আর কেউ চাঁদা নিতে আসে না। খুব ভালো লাগছে।
কচুয়ার উত্তর বাজার ও দক্ষিণ বাজার স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, স্বস্তিতে যাত্রী আনা–নেওয়া করছেন বাস ও অটোরিকশাচালকেরা।
আলমগীর হোসেন নামে বাসের এক চালক বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডে আগে কত রকমের নেতা দেখতাম। ৫ তারিখের পর কাউকে দেখা যায় না।’
কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় হচ্ছে না দাবি করে জামাল নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন, ‘তাঁরা (চাঁদাবাজরা) আমাদের হকের টাকা মাইরা খাইত। আল্লাহ বিচার করছে।
কচুয়ায় বিভিন্ন সড়কে দায়িত্বরত ছাত্ররা বলেন, তাঁদের যতগুলো দাবি ছিল তার মধ্যে অন্যতম একটি দাবি ছিল পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যাঁরাই দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা যেন বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত রাখেন।