চাঁদপুরে বন্যায় কবলিত তিন হাজার পরিবার বসতভিটা হারানোর উপক্রম : ক্ষয়ক্ষতি তিনশ কোটি টাকা
চাঁদপুর ভারী বৃষ্টি আর উজানের পানিতে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় কবলিত চাঁদপুরের চার উপজেলা। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। প্রায় তিন হাজার পরিবার বসতভিটা হারানোর উপক্রম হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ীর তালিকা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নোয়া গাঁও ওসমান বেপারী বাড়ীর ৯৭ বছর বয়সী হালিমা খাতুন। এরআগে দুই বার বন্যা দেখেছেন। এবারই প্রথম পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে হয়েছে।
পানি কমলেও বাড়ী ফেরা নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়। বন্যার পানিতে বসতঘরের ভিটা ভেঙে পড়েছে। খুলে পড়ছে ঘরের চারপাশ। এমন অবস্থা জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার প্রায় তিন হাজার পরিবারের।
এছাড়া জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি মৎস্যখাতে। প্রায় ১১ হাজার ৭শ পুকুর ও ৬২ টি ঘেরে মাছ ভেসে প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার ক্ষতি মৎস্য চাষীদের। আমন-বোরো ধান, শাক-সবজী ১২ হাজার ১শ ৪৭ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি ছয় লাখ টাকা।
গবাদিপশু ও হাঁস মুরগীর ক্ষয়ক্ষতি ৮৬ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন সড়কে ২১২ কিলোমিটার রাস্তা ও ৫০ টি ব্রীজে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বিভিন্ন পেশাজীবীরা চান সরকারের প্রণোদনা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা। সরকারীভাবে বন্যায় কবলিতদের সহযোগিতা দেয়ার পাশাপাশি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কথা জানান জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ বিভাগ। ২০০৪ সালের পর বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে দুই লাখ মানুষ।
জেলায় মৎস্য, ফসলাধি ও সড়কখাতে প্রায় তিনশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনশ মেট্টিকটন চাল, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ট্যাবলেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসন। এছাড়া ১৫শ স্বেচ্ছাসেবী ও সংগঠন বন্যা্তদের পাশে দাঁড়ায়।