নৌকার প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা উপজেলা আ.লীগের
নৌকায় ভোট দিলে ভোটারদের পিষে ফেলার ঘোষণা দেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ এবার উল্টো উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরণকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি, আক্তার হোসেন ফয়সাল, মিনহাজ আহমেদ জাবেদ, এমএ কাশেমসহ অনেকে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করি। দলীয় সভানেত্রীর মনোনয়ন বোর্ড মামুনুর রশিদ কিরণকে মনোনয়ন দেন। পরে সভানেত্রী দেশব্যাপী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গণভবনে ডেকে নেন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে মনোনয়ন বিষয়ে বলেন, ২৯৮ আসনে তিনি মনোনয়ন দিয়েছেন কিন্তু মনোনয়নপ্রত্যাশী যারা ছিল জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ, প্রতিযোগিতামূলক ও আনন্দমুখর করার জন্য যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। এতে দলের কোনো আপত্তি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনের মতো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত না হওয়ার জন্য হুশিয়ার করা হয়েছে। কারণ এতে দেশে এবং বিদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সে অনুযায়ী দলীয় সভানেত্রীর পরামর্শ মোতাবেক আমরা তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদকে সমর্থন করেছি। এতে দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কোনো কাজ আমরা করিনি এবং সভানেত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করছি।
আওয়ামী লীগকে কলঙ্কমুক্ত করতে চাই উল্লেখ করে এবিএম জাফর উল্যাহ বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য মসজিদের টাকা তছরুপের দায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরণ এবং সহসভাপতি শামসুল হক শামসুকে উপজেলা আওয়ামী লীগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করি এবং স্থায়ী বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ ও দলীয় সভানেত্রী বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করি।
E/N