২২ কোটি ২০ লাখের নেইমার এখন ১ কোটি ৫০ লাখ
উত্থান-পতনের নানা পর্ব পেরিয়ে আবারও সান্তোসে ফিরে এসেছেন নেইমার। এই সান্তোস থেকেই ফুটবলে নিজের জাদু দেখাতে শুরু করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। এরপর ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে তাঁকে কিনে নেয় বার্সেলোনা। বার্সায় গিয়েও লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে মিলে আলো ছড়াতে শুরু করেন এই ফরোয়ার্ড। তবে বার্সায় নিজের যাত্রাকে দীর্ঘায়িত করেননি নেইমার।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের মর্যাদা নিয়ে ২০১৭ সালে তিনি চলে যান ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। সে সময় তাঁকে কিনতে পিএসজি খরচ করেছিল ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো। তবে এত দাম দিয়ে যে উদ্দেশ্যে নেইমারকে পিএসজি কিনেছিল, তা সফল হয়নি। চোটসহ নানা কারণে সেরা ছন্দের নেইমারকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তাঁকে ঘিরে ইউরোপ সেরা হওয়ার যে স্বপ্ন পিএসজি দেখেছিল, তা–ও আর আলোর মুখ দেখেনি।
শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের আগস্টে ৯ কোটি ইউরোতে পিএসজি ছেড়ে নেইমার পাড়ি জমান সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে। কিন্তু সে অধ্যায়টা চোটজর্জর নেইমারের জন্য ছিল আরও বেদনাদায়ক।
১৮ মাসে সব মিলিয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ব্রাজিল জাতীয় দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল করা এই ফুটবলার। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই জানুয়ারিতে সমঝোতার ভিত্তিতে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে আল হিলাল। আর নেইমার এখন ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দিয়েছেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে।
পাশাপাশি সান্তোসে ফেরা নেইমারের বাজারমূল্যেও এখন বড় ধস নেমেছে। ২০১৭ সালে যে নেইমারের জন্য পিএসজি ২২ কোটি ২০ লাখ খরচ করেছিল, সেই খেলোয়াড়টির দাম এখন নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।
এমনকি মাত্র দেড় বছর আগেও তাঁর জন্য ৯ কোটি ইউরো খরচ করেছিল আল হিলাল। যদিও সেই দাম নেইমারের তখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি ছিল। তখন তাঁর বাজার মূল্য ছিল ৬ কোটি ইউরো।
মূলত একের পর এক চোট এবং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নেইমারের চূড়ায় ওঠার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে যতটা সাফল্য আশা করা হয়েছিল, সেটা কখনোই পাননি এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তবে সান্তোসে ফিরলেও নেইমারের সামনে সুযোগ আছে শেষটা রাঙানোর। ফিট থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের মূল ভরসা হবেন তিনি। এখন সেই বিশ্বকাপে দেশকে সাফল্য এনে দিয়ে ব্যর্থতাগুলো নেইমার ঢাকতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।