প্রকাশিত হলো সুজন আরিফের ২য় কাব্যগ্রন্থ ′বিপরীত চাঁদের মুখ′
অমর একুশে গ্রন্থমেলা যা ব্যাপকভাবে পরিচিত একুশে বইমেলা নামে। স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর অন্যতম হলো এ বই মেলা। প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা জুড়েই দেশের বিখ্যাত ও বরেন্দ্র সকল লেখকদের নতুন কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ শিক্ষক সুজন আরিফের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ বিপরীত চাঁদের মুখ প্রকাশিত হয়েছে।
সুজন আরিফ ১৯৮৮ সালে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত মো.বাবুল মিয়া ও মাতা মমতাজ বেগম।
শিক্ষা জীবনে তিনি হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে ২০০৪ সালে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ২০০৮ সালে অনার্স ও ২০০৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।বর্তমানে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বৈবাহিক জীবনে সুজন আরিফ ২০১৯ সালে কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক নূরে তানজিলা টিকলি’র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
সুজন আরিফ একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও চলচ্চিত্র বিশ্লেষক। গবেষণার ক্ষেত্রেও তিনি কৃতিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন।ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। শ্রেণিকক্ষে মুগ্ধতা ছড়ানো এ শিক্ষক বাংলা সাহিত্যের জটিল বিষয়াবলীর উপস্থাপনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় রেখে যাচ্ছেন।
কিন্তু নিজেকে শামুকের মতো গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করেন বলে কবি সুজন আরিফের লেখার পরিমাণের চেয়ে প্রকাশের পরিমাণ খুবই কম।বই প্রকাশের ব্যাপারে প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে হওয়ায় তাঁর এ পর্যন্ত প্রকাশিত বই মাত্র একটি।প্রচারবিমুখ এই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” খুন ও ক্ষরণের কাল” প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। যদিও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। সমকালীন অবক্ষয় রীতিমতো নিমন্ত্রিত হয়ে আগুন ছড়ায় সুজন আরিফের কবিতায়।