উড়োযান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান যেসব রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা

পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক চাঁদপুর
আপডেটঃ মে ২০, ২০২৪ | ৬:১৭
পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক চাঁদপুর
আপডেটঃ মে ২০, ২০২৪ | ৬:১৭
Link Copied!

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের থাকা সব কর্মকর্তারা মারা গেছেন। দেশটির আধা সরকারি নিউজ এজেন্সি মেহের নিউজ এ খবর দিয়েছে।  ১৯৩৬ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনা অনেকবারই ঘটেছে।  হেলিকপ্টার এবং বিমান দুর্ঘটনা নিহত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মৃত্যুর বিষয়টি সংকলন করেছে সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।

তৎকালীন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী আরভিড লিন্ডম্যান ১৯৩৯ সালের ৯ ডিসেম্বর বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।  ডগলাস ডিসি-২ নামে তাকে বহণকারী বিমানটি উড্ডয়নের ঠিক পরে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে।  ক্রয়ডন বিমানবন্দরের কাছে ঘরবাড়ির ওপরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট মার্শাল হোসে ফেলিক্স এস্টিগারিবিয়া ১৯৪০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিকোরস্কি পোল্যান্ডের নির্বাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৩ সালের ৪ জুলাই তার বিমান জিব্রাল্টারে বিধ্বস্ত হলে তিনি মারা যান।

১৯৫৮ সালের ১৬ জুন ক্রুজেইরো এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ব্রাজিলের তৎকালীন অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি নেরিউ রামোস মারা যান।

১৯৫৯ সালের ২৯ মার্চ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার নায়ক বার্থেলেমি বোগান্ডা তার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মারা যান।

বিজ্ঞাপন

জাম্বিয়ায় ১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব ড্যাগ হ্যামারস্কজোল্ড বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায়।  ওই দুর্ঘটনায় তিনিসহ ১৬ জন মারা যান।

১৯৬৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন ইরাকি রাষ্ট্রপতি আবদুল সালাম আরিফ। ওই বছরি তিনি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান।

বলিভিয়ার রাষ্ট্রপতি রেনে ব্যারিয়েন্টোস ১৯৬৯ সালের ২৭ এপ্রিল কোচাবাম্বা শহরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান।

১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি যুগোস্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেমাল বিজেডিকের লিয়ারজেট- ২৫ বিমান বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ক্রেসেভো শহরের কাছে ইনাক পর্বতে বিধ্বস্ত হয়।  এতে বিজেডিক, তার স্ত্রী এবং আরও ছয়জন মারা যান।

১৯৭৯ সালের ২৭ মে মৌরিতানিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওল্ড বাউসেফ আফ্রিকান নেশনগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ডাকার উপকূলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি মারা যান।

১৯৮০ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো সা কার্নেইরো এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাডেলিনো আমারো দা কস্তা বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।  তাদের বিমানটি উড্ডয়নের ঠিক পরে রাজধানী লিসবনে বিধ্বস্ত হয়।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট জেইমে রোল্ডোস আগুইলেরা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মেজর জেনারেল মার্কো সুবিয়া মার্টিনেজ ১৯৮১ সালের ২৪ মে পেরুর সীমান্তের কাছে প্রাণ হারান।

একই বছরের ৩১ জুলাই পানামানিয়ার প্রেসিডেন্ট ওমর টোরিজোস ছোট বিমানে ভ্রমণের সময় বনে বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান।

মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোরা মাচেল এবং বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বহনকারী একটি টুইন-ইঞ্জিন বিমান মোজাম্বিক-দক্ষিণ আফ্রিকা সীমান্তের কাছে ১৯৮৬ সালের ১৯ অক্টোবর বিধ্বস্ত হয়।  এ দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা যান। দুর্ঘটনার পর তদন্তে পাইলটকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

হেলিকপ্টারে বিস্ফোরণে ১৯৮৭ সালের ১ জুন প্রাণ হারান লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রশিদ কারামি।  বৈরুতে যাওয়ার পথে এটি উড্ডয়নের পরপরই বিস্ফোরণ হয়।

১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়া-উল-হক, তার পাঁচ জেনারেল এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড লুইস রাফেলকে বহনকারী একটি সি-১৩০ সামরিক বিমান রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাহাওয়ালপুরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। যে দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।  তদন্তকারীরা এটিকে নাশকতা বলে উল্লেখ করেছেন।

১৯৯৪ সালের ৬ এপ্রিল কিগালি বিমানবন্দরের কাছে বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট সাইপ্রিয়েন এনতারিয়ামিরা এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানাকে বহনকারী একটি বিমানে গুলি চালানো হয়। ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কেউ কেউ বেঁচে নেই।

২০০৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মেসিডোনিয়ার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট বরিস ট্রাজকভস্কিসহ আটজন বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।

২০১০ সালের ১০ এপ্রিল ‘ক্যাটিন গণহত্যা স্মরণে’ রাশিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লেচ কাকজিনস্কি এবং তার স্ত্রীসহ ৯৬ জনের।  অবতরণের সময় বিমানটি একটি বনাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। তারা কেউ বেঁচে নেই।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী রবিনসন আর-৬৬ হেলিকপ্টার লস রিওস অঞ্চলের লেক রাঙ্কোতে বিধ্বস্ত হয়৷ ভারী বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।  তাদের মধ্যে তিনজন তীরে উঠতে সক্ষম হন; পিনেরা তার সিট বেল্ট খুলতে না পারায় মারা যান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
সেচ্ছাসেবী সংগঠন বাতিঘর মানব কল্যাণ সংস্থার বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মায়া’সহ আ.লীগের পাঁচ নেতার শিল্প প্লট বাতিল হচ্ছে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ চাঁদপুরে ৪ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগের মামলা কচুয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ এম. আবদুল হালিম বিচারিক ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে আসছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ হাজীগঞ্জে আই বি ডব্লিউ এফ সংস্থার সভা  ভারতের বিপক্ষে চাপে থাকাটাই আমাদের জন্য সুবিধাজনক বলাখাল কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালিত  ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন তামিম সৌদি ফেরত প্রবাসীদের ৫ দাবি জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না বিচারপতি মানিকের কখন বুঝবেন সম্পর্কে বিরতি প্রয়োজন রায়চোঁ সুন্নীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে জসনে জুলুস অনুষ্ঠিত হাইমচরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী নাজির এখন প্যানেল চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা দিলো আ.লীগ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা যুবক ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার