ইউপি চেয়ারম্যানের মাছ প্রকল্পে সরকারি আটটি স্ট্রিট লাইট!
জনস্বার্থের ইউপি চেয়ারম্যান, একে একে সরকারি আটটি সৌর বিদ্যুৎ চালিত স্ট্রিট লাইট ব্যক্তিস্বার্থে স্থাপন করেছেন। ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা জলিলুর রহমান দুলাল তার মৎস্য চাষের সুবিধার্থে বেড়িবাঁধের চারপাশে আটটি সৌর বিদ্যুৎ চালিত স্ট্রিট লাইট স্থাপন করেন। এই বেড়িবাঁধ আলোকিত করতে গিয়ে এখন ইউনিয়নের সর্বত্রে সমালোচিত হচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব হাটিলা-গঙ্গানগর ফসলি মাঠে চেয়ারম্যানের বাড়ীর দক্ষিণ পাশে বড় মৎস্য বেড়িবাঁধ। তিনি গত দুই বছরের মধ্যে সরকারি বরাদ্দকৃত আটটি সৌর বিদ্যুৎ চালিত স্ট্রিট লাইট ওই বেড়িবাঁধের চারপাশে স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি তিনি সরকারের বরাদ্দ নেয়া তিনটি লাইট স্থাপন করেন। অথচ এই লাইটগুলো ইউনিয়নের জনস্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত স্থলে বসানোর কথা ছিল।
জানা গেছে, সরকারি এই লাইট গুলোর আনুমানিক মূল্য ৪/৫ লাখ টাকা সমমূল্যের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল মজুমদার বলেন, জনস্বার্থে ব্যবহৃত সৌর বিদ্যুৎ চালিত স্ট্রিট লাইট ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করার তীব্র নিন্দা জানাই। সংসদ মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের জরুরী হস্তক্ষেপে ওই লাইটগুলো জনস্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানোর আহ্বান জানান তিনি।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমি শুনেছি, চেয়ারম্যান সরকারি লাইটগুলো বেড়িবাঁধের পাড়ে স্থাপন করেছেন। সরকারি বরাদ্দের লাইট গুলো সেখানে স্থাপন করা ঠিক হয়নি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জাকির হোসাইন বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি প্রায় ১৫০ টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে। তার মধ্যে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুইটি অথবা তিনটি দেওয়া হয়েছে। তিনি কোথায় স্থাপন করেছেন, তা জানা নাই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানোর কথা। কিন্তু তিনি যদি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বিষয়টি ঠিক করেননি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, লাইটগুলো তদারকির দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের। তারপর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা জলিলুর রহমান দুলালের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বলেন, ‘সবগুলো লাইট সরকারি রাস্তার উপর। জনস্বার্থে লাগানো। আমার বেড়িবাঁধের স্বার্থে নয়।’