হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা
‘হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়মের তদন্ত কাজ শুরু’ সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ। পপুলার বিডিনিউজ পোর্টালে গত ১৫ নভেম্বর সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে জানানো যাচ্ছে যে, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিগত ১৫.১১.২০২০ খ্রিস্টাব্দে আপনার অনলাইন পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এই জন্য আমি উক্ত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশিত অভিযোগসমূহ যে মিথ্যা, বানোয়াট ও তথ্যনির্ভর নয় এ সম্পর্কে আমার বক্তব্য নিম্নরূপ-
প্রথমত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জনৈক অভিভাবক মো: আনোয়ার হোসেনের অভিযোগের তদন্তের কথা অনলাইন পত্রিকায় উল্লেখ করেছেন; মো: আনোয়ার হোসেনের কোন ঠিকানা উল্লেখ নেই এবং তিনি কোন্ ছাত্রের অভিভাবক তাও উল্লেখ নেই। ঠিকানাবিহীন অভিভাবকের অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয় কর্তৃক তদন্ত হয়েছে, যার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। তদন্তকালীন বিষয়ের সংবাদ প্রকাশ করা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তদন্তকার্যক্রমকে প্রভাবিত করা নয় কি?
দ্বিতীয়ত, উপবৃত্তি প্রদানের সময় যে অর্থ সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে তাও সঠিক নয় ও ভিত্তিহীন; কারণ হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে উপবৃত্তির সময় কোন অর্থ আদায় করা হয় না।
তৃতীয়ত, আপনার অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত, একজন ব্যক্তির নামে খরিদকৃত মালামালের ভাউচার কলেজে জমা দিয়ে অধ্যক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে; এ অভিযোগও সঠিক নয়। কলেজে দুটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি (০১. শিক্ষক দ্বারা ০২. গভর্ণিং বডি দ্বারা) সকল আয়-ব্যয় নিরীক্ষা করেন। প্রতি অর্থবছরের শেষে অডিট ফার্ম দ্বারা আয় ও ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করা হয় যা পরবর্তীতে গভর্ণিং বডিতে অনুমোদন করা হয়। তাই আপনার প্রত্রিকায় প্রকাশিত এ অভিযোগ সঠিক নয়।
চতুর্থত, কলেজের গাছ কাটা নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তাও সঠিক নয় কারণ বেসরকারি কলেজে গাছ কেটে বিক্রি করা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয় না; তা কলেজ ফান্ডে জমা হবে এবং বিক্রিত গাছের মূল্য ১৫,৫০০/- (পনেরো হাজার পাঁচশত) টাকা কলেজ তহবিলে জমা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে বিক্রয়মূল্যের ১২.৫% ভ্যাট ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। কাজেই প্রকাশিত এ অভিযোগটিও সত্য নয়, মিথ্যা ও বানোয়াট।
পঞ্চমত, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক, জনাব আবুল কালাম আজাদ সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাও সঠিক নয়। কারণ জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে গভর্ণিং বডি’র ৩২তম সভার ১৬ নং আলোচ্যসূচিতে উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে ০২ (দুই) বছরের জন্য খন্ডকালীন নিয়োগ ও বেতন নির্ধারণ করেন। এখানে নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।
আপনার অনলাইন পত্রিকায় অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও অধ্যক্ষের যে সুনামহানি ঘটিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনার কোন প্রতিবেদক প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য গ্রহণ করেনি। প্রকাশিত সংবাদটি আপনার অনলাইন পত্রিকার যে অংশে প্রকাশিত হয়েছিল আমাদের প্রতিবাদটিও সে অংশে আগামী ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদান্তে
(মো: মাসুদ আহাম্মদ)
অধ্যক্ষ
হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
প্রতিবেদকের বক্তব্য- সংবাদটি অভিযোগের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়েছিল মাত্র। প্রতিবেদকের কোন মতামত ছিল না। এছাড়াও তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।