চাঁদপুরে সব থানার কার্যক্রম শুরু, স্বস্তি ফিরছে জনমন
চাঁদপুর শেখ হাসিনা পদত্যাগের এক সপ্তাহ পরে চাঁদপুর জেলার ৮ থানা পুলিশ একযোগে সড়কে নেমেছে এবং দাপ্তারিক কার্যক্রম শুরু করেছে। জেলার আটটি থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে পুলিশ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
সকালে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সদর মডেল থানায় পুলিশকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জামায়াত ইসলামের শহর শাখার নেতৃবৃন্দ।
ওইসময় জনগনের নিরাপত্তায় পুলিশ নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করতে সকলের সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন পুলিশ। ৫ আগস্টে জেলার কচুয়া, মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, মতলব উত্তর ও চাঁদপুর মডেল থানা পাহারা কাজ করেন বিএনপি -জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত এর নেতৃত্বে শহরের শপথ চত্বর এলাকায় এসে সদর মডেল থানার পুলিশ অবস্থান নেয়। এর আগে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক দুটি গাড়ী করে থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শপথ চত্বরে আসেন।
সেখানে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম, জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহাজাহান খানসহ অন্যান্য নেতারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তার সুফল যাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ভোগ করতে পারে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আজকে থেকে নতুনভাবে পুলিশ কাজ করবে।
এক্ষেত্রে আমাদের সাথে শিক্ষার্থীরাও সাথে থেকে আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সকলে হাতে হাত মিলিয়ে দেশগড়ার কাজে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আজ থেকে আমাদের চাঁদপুর জেলার ৮ থানার পুলিশ কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন থেকে আমরা জনতার পুলিশ হয়ে কাজ করবো। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের সড়কে দায়িত্বপালনকারী শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কদের সাথে কথা বলেন।