প্রতিশ্রুতি দিয়েও পেঁয়াজ দিল না ভারত
নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া পেঁয়াজের একটি অংশ ভারত সরকার ছেড়ে দেওয়ার সম্মতি জানালেও শেষ পর্যন্ত কোন ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। এতে মর্মাহত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৬ সেপ্টেবর) রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত পেঁয়াজের কোন ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢোকেনি।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আকসার উদ্দীন মোল্লা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ ঢোকার কথা ছিল। আমরা দিনভর অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ অংশে কোন গেটপাশ না আসায় গত দুই দিনে কোন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ওপারে সব ট্রাক আটকে আছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সরোয়ার জনি জানান, ভারত আটকে পড়া ট্রাকের কিছু ছাড়তে চেয়েও দিল না। সামনে দুই দিন বন্দর বন্ধ। গরমে আটকে পড়া পেঁয়াজ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। বন্ধু রাষ্ট্রের এমন আচরণে আমরা মর্মাহত।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, সংকট জানিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ যৌক্তিক না। তাই হলে গত বছরের মতো এবারও ইলিশ দেওয়ার বিপরীতে পেঁয়াজ বন্ধ করতো না। স্বাভাবিক পেঁয়াজের আমদানি সচল করতে হলে রাষ্ট্রীয় ভাবে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসা দরকার।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় খোলা বাজারে হু হু করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিন আগে যে পেঁয়াজের দাম কেজি ৪০ টাকা ছিল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় আরো বেড়ে চলেছে বাজার দর।