সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনা
নিভে গেলো তুষারের মায়ের স্বপ্নের প্রদীপ
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর
Link Copied!
মতলবের তুষার মজুমদার -- পপুলার বিডিনিউজ
বাবা থেকেও নেই। দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র। মা আর ভাই-বোনকে নিয়ে সুখী হতে সৌদি আরবে যান তুষার মজুমদার। কোম্পানির মাধ্যমে ওমরাহ হজ্জ পালন করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেলো প্রাণ। একই সাথে নিভে গেলে পুরো পরিবারের স্বপ্নগুলো।
বলছিলাম চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার তুষার মজুমদার (২৫) এর কথা। সে উপজেলার ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের মনির মজুমদারের ছেলে। সম্প্রতি সৈদি আরবে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় তুষার মজুমদার মারা যান।
২৯ মার্চ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন হাওলাদার।
পারিবাবের সদস্যদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, গত ১১ মাস আগে সৌদি আরবের একটি কোম্পানির ভিসায় শ্রমিক হিসেবে বিদেশে পাড়ি জমায় তুষার। গেল ২৭ মার্চ ওই কোম্পানির মাধ্যমেই ওমরাহ করতে মদিনা যাচ্ছিলেন তুষার মজুমদার। পথে মধ্যে সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় ওমরাহ যাত্রী বহনকারী একটি বাস উল্টে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যায়। এতে তুষার মজুমদারসহ ১৮ জন বাংলাদেশী নিহত হয়। নিহত তুষার দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল।
ঘিলাতলী এলাকার ব্যবসায়ী মহন ঢালী জানান, গত ১১ মাস আগে তুষার আমার দোকান থেকে চাকরি ছেড়ে কাজের জন্য সৌদি আরব যায়। সেখান থেকেই সে ওমরা করতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। ইতিমধ্যেই আমরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছি।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, তুষারের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে তার পরিবারের একমাত্র উপার্জকারি ছিলেন তুষার। সৌদি আরবে যাওয়ার আগে সে নারায়ণপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পরে তার মা এনজিও থেকে টাকা তুলে তাকে সৌদি আরবে পাঠায়। আর এ দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনকারিকে হারিয়ে পুরো পরিবারটি এখন নিঃস্ব।