রংগে ভরা দেশ, পাপের নাইকো শেষ !
ভুয়া কোভিড সনদ দিয়ে প্রতারণার কি সাজা হওয়া উচিত?
যেখানে কোভিড হওয়াতে রোগীর স্বার্থেই হাসপাতাল গুলোতে বেড সংখ্যা বিন্যস্ত করে আইসোলেশন চালু হয়েছে, এক বিনিদ্র বিভিষিকার মধ্যে চিকিৎসক, সেবক সেবিকা,টেক্নোলজিস্ট,আয়া, ওয়ার্ড বয় জীবন বাজী রেখে কাজ করছেন, সেখানে এই সব ভুয়া সনদ দিয়ে জাতির প্রায় ৬ হাজার জন কে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য শুধু সিলগালা মারাটাই কি উপযুক্ত শাস্তি?
লোভ নাকি পাপ, সে পাপের বিষে যারা সাধারণের জীবন বিষালেন তারা কি কেবল-ই ছবি? পটে লিখা?
তাদের না যায় ছোঁয়া, না যায় ধরা,এমন-ই কর্পুর সদৃশ কি তারা?
ব্রিটিশদের লিখিত আইন নাই, কিন্ত মৌখিক সংবিধান জাতিকে সভ্য করেছে।
১১ মাসের শিশু বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিল সেই আইন লিপিবদ্ধ করে ৭২ সালেই। সেই আইনের ধারা উপধারায় নিশ্চই এই সব পাপিষ্ঠদের সাজার বিধান ও আছে।
যে পিতার কোভিড রিপোর্ট নিয়ে একটি বেডের আশায়, আইসিইউ এর আশায় ঢাকার প্রান্ত থেকে প্রান্তরে রাত ভোর এম্বুলেন্সের হুইসেল বাজিয়ে সন্তান ক্লান্ত হলেন, সেই রিপোর্ট যদি টেস্ট না করেই দেয়া হয়- সেই দায় কি কেবল চিকিৎসক এর?
যারা চিকিৎসকদের অপারগতা, অক্ষমতা নিয়ে গাল ভরা বুলিতে মিডিয়া আইকনে পরিণত হয়েছেন তাদের অদ্ভুত নীরবতা দেখে করুনাই হচ্ছে।
পাপীর সাজা হোক/ দেশ ইতর বেনিয়া মুক্ত হোক/ রাত গভীর, ভোর আসন্ন।
ঢাকা
৮/৭/২০২০