লস অ্যাঞ্জেলেসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসেও মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বদেশের মুক্ত চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
রাত ১০টা থেকে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। দুই ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনায় বক্তারা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের স্বার্থে সব বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
দেশের মতো প্রবাসেও বাংলাদেশিদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদের ধারা অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের প্রবল হতাশার কথা জানান। আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় কবিতা পাঠ ও দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বাজতেই শুরু হয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। লিটল বাংলাদেশ, লস অ্যাঞ্জেলেস আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট সোসাইটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস আনন্দ মেলাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাদের কণ্ঠে ছিল একুশের সেই অমর সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি।’ এরপর ভায়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও লস অ্যাঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের কোনো প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে আসেননি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে বেশ ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।