করোনা উপসর্গে মৃত্যুর আগে লিখলেন ‘আমরা সন্তানদের একটু দেখবেন’
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৈনিক বাংলাদেশের সমাচার পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত খান (৫২) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (২৯ মে) দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া শুরু হলে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের ওয়াবদা এলাকায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট বেড়েগেলে রাত ১২টার পরে চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়।
আবুল হাসনাত ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের খান বাড়ীর মৃত নওয়াব আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে, ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। তিনি স্বপরিবারে উপজেলা সদরে থাকতেন।
রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিক আবুল হাসনাত ব্যাক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন ‘ আমার অবস্থা ভলো না। আমাকে সবাই মাফ করে দিবনে। আমার সন্তানদের একটু দেখবেন। আমিন।’
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগর জানান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হলেও রাত আনুমানিক ২.৫০মিনিটের দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গত দুইদিন ধরে উনার জ্বর ছিল। করোনার লক্ষণ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সাংবাদিক আবুল হাসনাত এক সময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন এবং ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলের ভিপি পার্থীও হয়েছিলেন। বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশের পরে চাঁদপুরের স্থানীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও জাতীয় গনমাধ্যমে কাজ করেছেন। তিনি প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জ এর দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বেশকিছুদিন প্রবাসেও ছিলেন। এছাড়াও তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী গুণীজন স্মৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
ফরিদঞ্জের সাংবাদিক গাজী মমিন জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত আবুল হাসনাত এর মরদেহ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আছে বলে তার ছেলে জানিয়েছেন। সেখান থেকে নিয়ে আসা হলে বাড়িতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হবে।