চাঁদপুরে বই খুলে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫ জন প্রত্যাহার

পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর
আপডেটঃ জুলাই ৯, ২০২৪ | ১২:৪৩
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর
আপডেটঃ জুলাই ৯, ২০২৪ | ১২:৪৩
Link Copied!
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষার দেয়ার অভিযোগে দায়িত্বরত দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এরা হচ্ছেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো.আবুল বাশার ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো.হাবিবুর রহমান।
রবিবার (৮ জুলাই) কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির আলোকে এই ব্যবস্থা নেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ।
এছাড়া একই অভিযোগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাসহ দায়িত্বরত দুই শিক্ষককেও প্রত্যাহার করা হয়। তবে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানাগেছে, এবারের এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কচুয়ার সাবেক সাংসদের নামে প্রতিষ্ঠিত নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নাম্বার কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউবা বাহিরে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার কেউ একজন অন্যজনের খাতা দেখে  পরীক্ষা দেয়। এ বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে বাহিরে প্রচার করে। বিষয়টি তখন প্রশাসনের নজরে আসে।
কিন্তু ওইদিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। তাঁর উপস্থিতিতে ওইদিনসহ প্রতিদিনই এভাবে ওপেন বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠে।
আরও জানাগেছে, প্রতিদিন এই সুযোগ পেতে কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মোটা অংকের টাকা প্রদান করা হতো। বিষয়টি নিয়ে ওই এই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রুস্তম আলী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, কোন কক্ষে কি হয়েছে সেটা আমি বলতে পারছিনা। তবে এ ঘটনায় প্রশাসন দুই কেন্দ্রের সচিবকে পরিবর্তন করে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন আজ সোমবার। এরা হচ্ছেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ওই এলাকার বাসিন্দা ইকবাল আজিজ বলেন, এভাবে একজন সাংসদের বাবার নামে প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের নকলের সুযোগ করে দিয়ে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা হচ্ছে।  জানা গেছে কচুয়া উপজেলায় ৭টি কেন্দ্রেই এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করে আসছে। প্রশাসন এটি দেখেও রাজনৈতিক প্রভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেনা।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকেও একটি তদন্ত টিম আসবে।

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
হাজীগঞ্জে নবাগত ওসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জামায়াতের নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর জেলা সমিতি ভবন অবরোধ ছাত্র-জনতার চাঁবিপ্রবির দুই শিক্ষকের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাখ্যান আমরা সব জায়গায় সংস্কার করব : চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়ালের বিদায় ইলিশ চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডকে কাজ করার আহ্বান দেশ ছাড়ার গুঞ্জন, যা বললেন আসিফ নজরুল বাড়তে পারে তাপমাত্রা মেনাপুর নাসিরকোট ও রাজার গাঁও স্কুলে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন  শেখ হাসিনাকে আপা আপা বলা কে এই তানভীর? মোহাম্মদপুর সপ্রাবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী( সা:) উদযাপন  ১৫ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ছয় হাজার বিএনপি ভালো মানুষদের জন্য একটি রাজনৈতিক দল: লায়ন মো. হারুনুর রশিদ নার্সিং পেশা ও নার্স কর্মকর্তাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন যতটুকু কাজ করবো সততা নিয়ে করবো: নবাগত জেলা প্রশাসক আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নির্বাচন করবেন না সালাউদ্দিন, সমর্থকদের উল্লাস-মিষ্টিমুখ শেখ হাসিনার সময়ে দুর্নীতির সাগরে ছিলাম : ড. ইউনূস রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মাসুদ বিএসসির ইন্তেকাল শাহরাস্তিতে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস