ওজন বাড়লে পুরুষ থেকে নারীতে পরিণত হয় কোরাল মাছ

পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক চাঁদপুর
আপডেটঃ অক্টোবর ১৫, ২০২৩ | ৫:২৩
পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক চাঁদপুর
আপডেটঃ অক্টোবর ১৫, ২০২৩ | ৫:২৩
Link Copied!

প্রাণিজগতে বৈচিত্র্যের শেষ নেই। বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিত্যনতুন ফলাফল রীতিমতো চমকে দেয় আমাদের। জনপ্রিয় ও সুস্বাদু কোরাল মাছের একটি বৈশিষ্ট্যও মৎস্যবিজ্ঞানীদের কৌতূহলী করে তুলেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, কোরাল মাছ জন্মায় উভলিঙ্গ পরিচয় নিয়ে। এরপর পুরুষ হিসেবে বাড়ে। আর বয়সকালে পরিণত হয় নারীতে। যদিও এই রূপান্তর কীভাবে ঘটে, বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো তা পরিষ্কার নয়।

তবে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীর লিঙ্গ নির্ধারণে ক্রোমোজমের ভূমিকা প্রধান হলেও মাছের ক্ষেত্রে তা নয়। অর্থাৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীরা জন্মের সময় যে লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে পৃথিবীতে আসে, সচরাচর সেটাই তার আজীবন লৈঙ্গিক পরিচয় হয়ে রয়ে যায়। তবে মাছের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না। উষ্ণ পানির অধিকাংশ মাছই জন্মায় পুরুষ হয়ে। এ ক্ষেত্রে লিঙ্গ নির্ধারণে তাপমাত্রাও ভূমিকা রাখে। যুক্তরাজ্যের স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানী অধ্যাপক স্টিফানো মারিয়ানি দীর্ঘদিন ধরে মাছের এই অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মতে, লিঙ্গ পরিবর্তনে মাছের পারদর্শিতা প্রাণিজগতে সবাইকে ছাপিয়ে যায়। গবেষণায় তিনি দেখতে পেয়েছেন, মাছেরা নিজেদের অ্যান্ড্রোজেন হরমোনকে দ্রুতই অ্যাসট্রোজেনিক হরমোনে রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে তারা নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।

বাংলাদেশে কোরাল মাছের ওপর প্রথম গবেষণা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছরের এপ্রিল মাসে ‘ভেটকির মা মাছ তৈরি ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন গবেষণা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় ওই গবেষণা। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ওই গবেষণায় ভেটকি মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য পাওয়া যায়। আর গবেষণা চালাতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কলাতলী থেকে সোনাদিয়া পর্যন্ত ২৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোরাল মাছের প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করেন।

বিজ্ঞাপন

 

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক  বলেন, কোরাল মাছ প্রথমে উভলিঙ্গ হয়ে জন্মায়। এরপর পুরুষ হয়। আর চার কেজির বেশি ওজন হলে অধিকাংশ কোরাল স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়। রূপান্তরিত হওয়ার পরই স্ত্রী কোরাল প্রজননের জন্য গভীর সাগর থেকে উপকূলের নদী মোহনায় চলে আসে। কোরাল মাছের প্রজননকাল এপ্রিল থেকে শুরু হলেও সবচেয়ে বেশি ডিম দেয় মে মাসে। একটি পরিপক্ব স্ত্রী কোরাল ৬০ লাখ থেকে ২ কোটি পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম।

সূত্র: প্রথম আলো

বিজ্ঞাপন

E/N

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
সেচ্ছাসেবী সংগঠন বাতিঘর মানব কল্যাণ সংস্থার বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মায়া’সহ আ.লীগের পাঁচ নেতার শিল্প প্লট বাতিল হচ্ছে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ চাঁদপুরে ৪ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগের মামলা কচুয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ এম. আবদুল হালিম বিচারিক ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে আসছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ হাজীগঞ্জে আই বি ডব্লিউ এফ সংস্থার সভা  ভারতের বিপক্ষে চাপে থাকাটাই আমাদের জন্য সুবিধাজনক বলাখাল কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালিত  ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন তামিম সৌদি ফেরত প্রবাসীদের ৫ দাবি জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না বিচারপতি মানিকের কখন বুঝবেন সম্পর্কে বিরতি প্রয়োজন রায়চোঁ সুন্নীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে জসনে জুলুস অনুষ্ঠিত হাইমচরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী নাজির এখন প্যানেল চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা দিলো আ.লীগ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা যুবক ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার