কচুয়ার নাউলা গ্রামে মৎস প্রজেক্টের পাশে পাড় বাঁধা না থাকায় ৩টি বসতি হুমকির মুখে
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামে মৎস চাষের জমির পাশে হওয়ায় মিজির বাড়ীর আলমগীর হোসেনের বসতবাড়ি সহ আরও দু’টি বসতি হুমকির মুখে পড়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলমগীর হোসেন জানান, আমি প্রবাসে থাকাবস্থায় একই ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে কামাল হোসেন আমার বসতি বাড়ির সাথে তার জমিতে মৎস প্রজেক্ট করার জন্য পাড় না বেঁধে উল্টো আমার ১০ শতক ভূমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে।
এসময় আমার স্ত্রী বাধা দিলে ভয়-ভীতি ও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখে। সম্প্রতি আমি প্রবাস থেকে এসে দেখি, মাছের প্রজেক্টের পাশে আমার পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং দিন দিন ভাঙ্গার পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। সমস্যাটি সমাধানের জন্য কামালকে বারবার অনুরোধ করলেও, সে কোন কর্নপাত না করায় আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ দায়েরের পর একাধিকবার পরিষদের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করা হলে, তাদের বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে যাচ্ছে এবং কোন সুরাহা হচ্ছে না। এছাড়াও একই বাড়ীর অধিবাসী আ: রবের ছেলে সোহেলের বসতি ও মৎস প্রজেক্টের পশ্চিম পাশে মৃত শহিদুল্লাহ’র ছেলে শাহজাহানের বসতবাড়িও একই অবস্থায় হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযুক্ত কামাল জানান, আমি মৎস চাষের জন্য বর্গা দিয়েছি এবং এ প্রজেক্টে আরও অন্যান্য মালিকদেরও জমি রয়েছে। আলমগীরের বাড়ির পাশে ৬ ফুট জায়গা রেখে মাটি বিক্রি করেছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের বক্তব্য নেয়ার জন্য দফায় দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করে কেটে দেয়। ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।