কচুয়ায় অবৈধ ট্রাক্টর চলাচলের তান্ডবে জরাজীর্ণ সড়ক
দেখার যেন কেউ নেই!
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় কৃষি জমির মাটি ক্রয়-বিক্রয়ে ট্রাক্টরের তান্ডবে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীন পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তা জরাজীর্ণ হয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব ট্রাক্টর হাল চাষের জন্য নিয়ম বিধি থাকলেও তারা পিছনে বডি লাগিয়ে অবৈধভাবে সড়ক দিয়ে বিভিন্ন মালামাল পারাপার করছে।
দিন দিন কৃষি জমি থেকে মাটি ক্রয়-বিক্রি ও মৎস চাষের আওতায় নেয়ায় ফসল উৎপাদনে হ্রাস পাচ্ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এসব অবৈধ ট্রাক্টর দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ করা হলেও, বন্ধ হয়নি এ উপজেলায়। দেখার যেন কেউ নেই! এতে পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙ্গে বিনষ্টে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টিসহ জনসাধারন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে, উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের বড়তুলাগাঁও গ্রামের সফিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কৃষি জমির মাটি বিক্রয় করে একই গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের নিকট। তৌহিদুল ইসলাম জানান, সফিকুর রহমান মৎস চাষীদের কাছে জমি বর্গা দেয়ার জন্য আমার কাছে মাটি বিক্রয় করলে, আমি পাশাপাশি নূরপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী রহিমের কাছে বিক্রয় করি।
রহিম প্রায় ৩০/৩৫ বছর থেকে মাটির ব্যবসা করে আসছে এবং তিনি জানান, ট্রাক্টর দিয়ে সারা কচুয়ায় মাটি পারাপার করছে। সবাই বন্ধ করে দিলে আমিও বন্ধ কর দেব।
এদিকে একই ইউনিয়নের নাউলা আশ্রয় কেন্দ্রের অধিবাসী মাটি ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া একই গ্রামের শীল বাড়ির সুজন শীল নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে মাটি ক্রয় করে সড়ক দিয়ে ট্রাক্টরে মাটি পারাপার করে আসছে। মৎস চাষ করার জন্য নিজের জমি থেকে দুলালের নিকট ২ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রয় করেছে বলে সুজন শীল জানান। দুলালও দীর্ঘ দিন থেকে এ ব্যবসা করে আসছে এবং তিনি জানান, ট্রাক্টর চলাচল সবাই বন্ধ করে দিলে, আমিও দেব।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের বক্তব্য নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি ওয়ার্ড মেম্বারদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বলে এড়িয়ে যান। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ইবনে আল জায়েদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।