ফরিদগঞ্জে আকস্মিক আগুনে পুড়লো বসতঘর
আমান উল্ল্যাহ খান ফারাবী
Link Copied!
ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দঃ ইউনিয়নে বসত ঘরে আকস্মিক আগু লেগে একটি বড় ঘর দুইটি ছোট ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫/৬ লক্ষ টাকা ধারনা কার হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেছে আমরা বেশকিছুন দরে বেশ কিছুদিন ধরে শুনে আসতেছি, বসত ঘরের মশারি কিংবা লেপপ-তোশকসহ ব্যবহারিত জামাকাপড়ে হটাৎ আগুন জ্বলে, কি ভাবে আগুনের সূত্রপাত হতো তা কেউই বলতে পারতাম না। আগুন উপরের দিকে না উঠে চারো দিকে ছড়িয়ে পড়তো। এমন ঘটনা একই গ্রামের চন্দের বাড়িতে ঘটতো। স্থানয়ীদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন এটা জ্বিনদের দ্বারা আগুনের সূত্রপাত হয়। আবার কেউ কেউ বলছেন আল্লাহ ছাড়া কেউই জানে না কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এঘটনা ৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার পূর্ব দায়চারা গ্রামের পালের বাড়ীর মৃত ফয়েজ উল্লাহ বসত ঘরে ঘটে। বর্তমানে বসত ঘরে বসবাস করতো তার স্ত্রী ফাতেমা বেঘম(৪৫)।
পাশের বিল্ডিংএ কাজ করতে আসা তসলিম গাজি বলেন, দেখেছি এককোনায় আগুন দরেছে, সাথে সাথে চিটকা দিয়ে ঘরের চারো দিকে হয়ে গেছে।
একই বাড়ির মাসুদ বলেন, বিভিন্ন সময়ে হটাৎ করে লেপতোশকে আগুন জ্বলতো। যদি কেউ পাশে থাকে তখন হাত দিয়ে অথবা কিছু দিয়ে চাপা দিলে আগুনটা নিবে যেতো। আগুনটা কই থেকে লাগতো তা কেউই বলতে পারতো না। হটাৎ হটাৎ আগুনের সূত্রপাত হতো। এটা প্রায় গত দুই মাস যাবত। তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হতো না। কিন্তু আজ সকালে তোশকে আগুন লাগলে তা নিবিয়ে পেলে উনি, কিছুক্ষণ পরে মৃত ফয়েজ উল্লাহর স্ত্রীকে ডেকে বলে ঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া উঠতেছে। আমি সে সময় বাজারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গিয়ে দেখি ঘরের চারো দিকে ধোঁয়া উঠতেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো ঘরে আগো জ্বলে উঠলো। এরি মধ্যে ফায়ার সার্ভিসকে কল দিলে তারা এসে আগুন নিবানোর চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনা পাশের চন্দের বাড়িতে ঘটতো। এখন আমাদের বাড়িতে ঘটলো। এমন ঘটনায় পুরো বাড়ির মানুষ হতবাগ। এলাকায় একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেছে।
মৃত ফয়েজ উল্লাহর ছেলে হাফেজ মাসুদুর রহমান বলেন, এঘরটিতে শুধু আমার মা আর ছোট ভাই থাকে, বর্তমানে ছোট ভাই ঢাকাতে পড়াশুনার করে। সকালে নাকি তোশকে আগুন লাগলে মা নিবিয়ে পেলে। পরে মা বিভিন্ন কাজে ঘরের বাহিরে। এর মধ্যে আগুনে সব জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েগেছে। ঘর থেকে কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি মায়ের পরনের পোশাক ছাড়া। আমাদের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকার মত হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিবানোর চেষ্টা করেছি। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়াতে তেমন কিছুই রক্ষা হয়নি। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা জানাযায়নি।