তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিকআপ ভ্যানে আগুনের ঘটনা
আমান উল্ল্যাহ খান ফারাবী
Link Copied!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপটি ইউনিয়নে শ্রীকালিয়া ২৫ নভেম্বর (সোমবার) গায়ে হলুদে ঊশৃঙ্খলা আচরণের প্রতিবাদ করায় বিয়ে বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট এবং পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এঘটনায় স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ ঘটনায় মুকসুদা বেগম (৬৫) নামে একজ বাদী হয়ে একই গ্রামের নুরু ড্রাইভারের ছেলে সুমন মিজি(৩০) খোকা মিয়ার ছেলে ছেলে মোঃ বাবু(২৪), মোহাম্মদ সিয়াম (২৪), মোঃ খোকন (৪৫) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোহাম্মদ রাসেল (৩৬)কে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মকসুদা বেগম বলেন, এই অভিযোগটি ওসি সাহেব ফরিদগঞ্জ থানার এসআই আমজাদ এর কাছে দিলে এসআই আমজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আমাকে থানায় যেতে বলেন। আমি একে একে এই তিনবার থানায় যাই। তিনি মামলাটি এফেয়ার করে কোর্টে পাঠাবেন বলে কিছু টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে সম্মতি হই। তারপরও তিনি কেন জানি কয়েকদিন ঘোরাঘুরির পরে আমাকে বলে, এই নিয়ে আমার কাছে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ আছে, আমি বিষয়টি পরে দেখতেছি।
মুকসুদার স্বামী আমিন সরদার বলেন, ঘটনার দিন দুর্বৃত্তরা আমার ছেলের বিয়ে অনুষ্ঠানে যে অমানুষিক কার্যক্রম চালিয়েছে এবং লুটতরাজ ও অগ্নি সংযোগ করেছে। আমার মেয়েদের স্বর্ণলঙ্কার লুট ও পিকআপ ভ্যান সহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির করেছে। আমি এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে ঘুরে ও পরবর্তীতে থানায় গিয়েও এর কোন সুবিচার পেলাম না। আমি পুলিশ প্রশাসন সহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আমার এই ঘটনার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন, সেদিনকার ঘটনাগুলো খুবই দুঃখজনক এ বখাটে ছেলেগুলো বিনা দাওয়াতে গায়ে হলুদে এসে যে অমানুষিক কাজগুলো করেছে, আমরা এলাকাবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
অভিযোগের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না জান্তে চাইলে, এসআই আমজাদ বলেন, তারা শুধু অভিযোগ করেছে, অভিযোগ অবশ্যই নেওয়া হয়েছে। এখন তা তদন্তাধীন রয়েছে। আর অভিযোগ না নিলেত আর আমি আপনাকে বলতাম না তদন্ত চলতেছে। অভিযোগ যদি না নিতাম তাহলেত বলতাম আমার কাছে কোন অভিযোগ নাই।