চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজ গর্ভণিং বডির এডহক কমিটি স্থগিত করলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
গত ১৯ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে, ২১ নভেম্বর তা প্রকাশিত হয়।
এর আগে এই এডহক কমিটি নিয়ে গল্লাক কলেজ ক্যাম্পাস ও উপজেলা সদরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যকার বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এডহক কমিটির নতুন সভাপতিকে উপজেলা পরিষদের সামনে লাঞ্ছিত ও অপহরণের চেষ্টা হয়। এছাড়া বিক্ষুব্ধরা কলেজ গেইটে তালামারাসহ শিক্ষার্থীদের একাংশ কমিটি বাতিলের দাবিতে শ্রেণি শিক্ষা বয়কটের ঘোষনা দেয়।
জানা গেছে, ৫ আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তীকালিন সরকার সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি বাতিল করে। পরবর্তীতে এডহক কমিটি গঠনের নিদের্শনা দেয় বিশ^বিদ্যালয় ও বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে শুরু হয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা। একপক্ষে সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদের অনুসারি যুবদলের সাবেক নেতা মাহবুব মোরশেদ কচি এবং অপরপক্ষে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের অনুসারি উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি করা নিয়ে শুরু হয় দুই পক্ষের দ্বন্ধ। এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও গল্লাক বাজারে দুই গ্রুপের অনুসারিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
এর মধ্যেই গত ৬ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মাহবুব মোরশেদ কচিকে সভাপতি করে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন এডহক কমিটি ঘোষনা করে। এই ঘোষনার পর বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠে। এনিয়ে দুই মধ্যকার রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে কলেজের শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় পরিপত্র জারি করে এডহক কমিটি স্থগিত করে।
এদিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বছরের এই শেষ সময়ে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।