কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের মধ্যে পার্থক্য কী?

পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ মে ২২, ২০২০ | ৬:২০
পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ মে ২২, ২০২০ | ৬:২০
Link Copied!

বর্তমানে আলোচিত তিনটি শব্দ হলো আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টিন ও কোয়ারেন্টিন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই তিনটি শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে ঘন ঘন। অনেকে আবার এই তিনটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলছেন। আক্রান্তের ক্ষেত্রে এই তিন অবস্থায় বিধিনিষেধ কি আলাদা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টিন ও কোয়ারেন্টিনের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য আছে নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও। জেনে নিন-

আইসোলেশন

বিজ্ঞাপন

কারো শরীরে করোনা ধরা পড়লে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আইসোলেশনের সময় চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে থাকতে হবে রোগীকে। অন্য রোগীর কথা ভেবে হাসপাতালে আলাদা জায়গা তৈরি করা হয় তাদের জন্য। অন্তত ১৪ দিনের মেয়াদে আইসোলেশন চলে। অসুখের গতিপ্রকৃতি দেখে তা বাড়ানোও হয়। আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে বাইরের কারো যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না। তাদের স্বজনদের সঙ্গেও এই সময় দেখা করতে দেয়া হয় না। একান্ত তা করতে দেয়া হলেও অনেক বিধিনিষেধ মানতে হয়।

এই অসুখের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এ সময় কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় এমন কিছু ওষুধ ও পথ্য দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। যাদের শরীরে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ও করোনার প্রকোপ অল্প, তারা এই পদ্ধতিতে সুস্থও হন। যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও রোগের হানা বড়োসড়ো রকমের, তাদের পক্ষে সেরে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

কোয়ারেন্টিন

বিজ্ঞাপন

করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরেই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। অন্তত সপ্তাহখানেক সে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে জানে। তাই কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় রোগীকে। অন্য রোগীদের কথা ভেবেই কোয়ারেন্টিন কখনো হাসপাতালে আয়োজন করা হয় না। করোনা হতে পারে এমন ব্যক্তিকে সরকারি কোয়ারেন্টিন পয়েন্টে রাখা হয়।

কমপক্ষে ১৪ দিনের সময়সীমা এখানেও। এ সময় রোগের আশঙ্কা থাকে শুধু, তাই কোনো রকম ওষুধপত্র দেয়া হয় না। শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়। বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু রোগের জীবাণু ভেতরে থাকতেও পারে, তাই মাস্ক ব্যবহার করতেও বলা হয়। বাড়ির লোকেদেরও এই সময় রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।

হোম কোয়ারেন্টিন

কোনো ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনের সব নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন তাকে হোম কোয়ারেন্টিন বলে। সাধারণত সম্প্রতি আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে রোগীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

এ ক্ষেত্রেও নূ্যনতম ১৪ দিন ধরে আলাদা থাকার কথা। কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই এই ব্যবস্থা নিতে হয়।

এ ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধির বাইরে কোনো আলাদা ওষুধ দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বেশি করে পানি পান, ভালো করে খাওয়াদাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর নানা পথ্য- এসব দিয়েই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
আওয়ামীলীগকে ফিরে আসতে দেয়া হবে না: মাহফুজ আলম জামায়াত সবচেয়ে বেশি জীবনদানের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: মোবারক হোসাইন মাজারে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও পুন:সংস্কারের দাবী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের রাস্তা পার হতে গিয়ে অটোবাইকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত বার্তা ২৪ এর চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেলেন হোসেন বেপারী দেশ থেকে চুরি করা টাকা দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন হাসিনা: সারজিস আলম উত্তরা ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ১২ জলদস্যু আটক দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তান হাজীগঞ্জে মোহাম্মদপুর প্রিমিয়ার লীগ শট রাউন্ডরি ডে নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমন ম্যারাথন আর দেখেনি শাহরাস্তিবাসী চাঁদপুরে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৭ লেখক ইজতেমার সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন ৬০ হাজার টিসিবির কার্ড বাতিল করলো বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন, প্রশ্ন রিজভীর এক–এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি: মির্জা আব্বাস রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৭০ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ডিসেম্বরের বেতন ছাড় না হওয়ায় মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির ক্ষোভ ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর