মতলবের অপহ্রত দুই কিশোরী চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার, আটক ২
মতলব দক্ষিণ উপজেলা থেকে অপহ্রত দুই কিশোরীকে গত ২৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে পাচটায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গত ১৫ আগস্ট মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নন্দীখোলা গ্রাম থেকে দু’ কিশোরীকে অপহরন করা হয়। ঘটনায় সোহেল ও ইউনুস মিয়া নামের দুই রাজমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করা হয়।বুধবার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে । অপহরণের শিকার কিশোরীরা হচ্ছেন সাবিহা আক্তার (১৪) ও মাহমুদা আক্তার (১২)। তাদের বাড়ি উপজেলার নন্দীখোলা গ্রামে। সাবিহা স্থানীয় কাচিয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এবং মাহমুদা কাচিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তার সোহেল মিয়া (২০) ও ইউনুস মিয়ার (২২) বাড়িও নন্দীখোলা গ্রামে। সোহেল ও ইউনুস এবং ওই দুই ছাত্রী একই বাড়ির বাসিন্দা। সোহেল ও ইউনুস এলাকায় ইমারত নির্মাণের শ্রমিকের কাজ করেন।
জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট সকাল আটটায় ওই দুই ছাত্রী জাতীয় শোকদিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে তাদের বিদ্যালয়ের উদ্দেশে হেঁটে রওনা দেয়। কিছু দূর যাওয়ার পর কাচিয়ারা এলাকার সরকার বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে সোহেল ও ইউনুস তাদের পথরোধ করেন। এরপর জোর করে তাদের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে ছাত্রীদের পাশের বাড়ির জনৈক ইমরান হোসেনের সহায়তায় তাঁর গাজীপুর জেলা সদরের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে কয়েক দিন আটকে রেখে নির্যাতন করেন। সেখান থেকে তাদের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় নিয়ে আটকে রাখেন। চৌদ্দগ্রাম থেকে পুনরায় জায়গা বদল করে চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া এলাকার একটি বাসায় আটকে রাখেন তাদের।
থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম পুলিশের সহায়তায় বাঁশবাড়িয়া এলাকায় তাঁর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেখানকার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত ছাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ সময় সেখান থেকে সোহেল ও ইউনুসকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সাবিহার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সোহেল ও ইউনুসকে আসামি করে তাঁর থানায় অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুরে ওই দুই ছাত্রীকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোহেল ও ইউনুস মিয়াকে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।