সেই এনামের কথা স্বরণ করলো ছাত্রদল
#পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট
শুক্রবার বিকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কয়েক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এনামকে ফেসবুকে স্বরণ করতে দেখা গেছে।
তারা এনামকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে। পড়ুন বিস্তারিত-
ফুটফুটে, চটপটে এনাম এখন নিস্তব্দতায় কাটছে দিনক্ষণ। সেই ২০১২ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারী ছাত্রদলের কর্মী হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মহাসমাবেশে যায়। সেখানে গিয়ে নিজেই এখন যোগ দিয়েছে মহা দুঃস্বপ্নের কারাগারে।
এনামের বাবা ছালামত উল্লাহ। গ্রাম, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের হাফেজ সাহেবের বাড়ী। তাঁর বাবা বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচা হয়ে গেছে। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়র মমিনুল হক নিজেই দিয়েছেন প্রায় সাত লাখ টাকার যোগান। আর বাকী টাকা নিজের সম্পত্তি ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় চিকিৎসায় খরচা করেছি।’
এখন এনামের চোখের রাজা ও মনি ভালো। তবে চোখে দেখার জন্য একটি রগ শুকিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক জিয়াউল হক। একই কথা বলেছেন চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ফজলিয়া চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকগণ।
বর্তমানে এ দেশে চোখের এমন চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। এটা করতে হলে সিঙ্গাপুর নিতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। যেখানে নুন আন্তে পান্তা পুরায়-সেখানে সিঙ্গাপুর?
এনামের বাবা ছালামত মিয়া আরো বলেন, মাথায় বুলেটের আঘাতের প্রায় দুই মাস পর জ্ঞান ফিরেছে। প্রায় ২৭ দিন আইসিওতে ছিল। তাতে হাই-ভোল্টিজের ইনজেকশনে এনামের চোখের রগ শুকিয়ে যায়। এখন মাঝে মাঝে চোখের থেরাপী দেয়া হয়। এতে ছেলেকে সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই না।
প্রশ্ন হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি তথা হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দলীয় পদ নিয়ে টানাটানি চলছে। যারা পদের জন্য দলীয় গ্রুপিং করছেন- তাদের চোখ ও মনে কী এনামের কথা বা ছবি ভেসে উঠে না?
Moniruzzaman Bablu