অন্ধ প্রেমিক-কবিতা লেখে
কবিতা ভুলেছে পথ- হাঁটুভাঙা নদীর বাকে। এই যে সৃজনকলারÑ পাতায় পাতায় ছাপা হায়েনার ছাপচিহ্ন… প্রতিদিন ঝরে যায় পাথরগোলাপের প্রতিটি পাপড়ি দিন। কবিতার শব্দকথায় ভরে ওঠে পূর্ণিমারাতের জোছনাজল। ডানাঝাপটাই নক্ষত্রপাখির প্রতিক্ষীত অন্ধবাউল। চির চেনা পথ-অচেনা হয়, ভুলে যাই রাস্তার মোড়… এখনও বিবাগী হয় রাখালের পুষেরাখা মনপাখি-জলতরঙ্গে মিশে যায় পুকুরের মাছ। পাতাকুড়ানী মেয়ে আজ আমার ভালোবাসা- নিজেকে খুঁজেছি অজানা রাস্তায়; তবু সমাজে তুমি কিংবা তোমরা আমাকে বললে-নারীখোর। পতিতাকে তুলেছি ঘরে। এই যে ঘর থেকে দূরেÑ তোমাকে দেখেছিÑবেসেছি ভালো। নোংরা এই সমাজের ঝুটোতে তোমাকে হারাতে চাই না সোনা…চলো বেড়িয়ে আসিÑ সমুদ্রপাড়া।
পাথরেও ফোটে ফুলÑকষ্ট জানি তোমারও আছেÑএকাকী এই দেহে বুনেছি শস্যের বন। জলে-স্থলে তোমাকে কবিতা করে ভেবেছি দিন-রাত। অন্ধ এই আমি তোমার চোখে পৃথিবী দেখতে চাই। লিখতে চাই কবিতা-ফোটাতে চাই কবিতা ফুল…