হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, কিছু স্মৃতি কিছু কথা (৫ম পর্ব)

অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী মোহন
আপডেটঃ আগস্ট ১৪, ২০২০ | ৭:১৯
অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী মোহন
আপডেটঃ আগস্ট ১৪, ২০২০ | ৭:১৯
Link Copied!

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের কথা লিখতে বসলেই ভাল লাগে যখন দেখি কলেজের ছাত্ররা লেখাপড়া শেষে ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ কলেজের ছাত্র জহিরুল ইসলাম চৌধুরী একই কলেজে দীর্ঘদিন বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা শেষে অবসর নিয়ে আজ প্রয়াত। এই কলেজের ছাত্র অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মকিমাবাদের সন্তান মনির হোসেন পরবর্তীকালে ব্যাংকার হয়ে আজ অবসরে আছেন৷ আরো যারা এই কলেজের ছাত্র হয়ে ও এই কলেজেই অধ্যপনা করছেন তারা হলেন হিসাব বিজ্ঞানের জাহাঙ্গীর হোসেন এবং গণিতের রেদোয়ান আহমেদ।

হাজীগঞ্জ কলেজের ছাত্রদের মাঝে যারা হাজীগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার/কাউন্সিলার হয়েছেন তাদের মাঝে প্রিয় ছাত্র সাজু (মকিমাবাদ), খোরশেদ আলম ভুট্টু (রান্ধুনীমুরা) ও লিটন সাহা (মকিমাবাদ) অন্যতম। হাজীগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নেতা এবং জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব অরুণ এই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র।

কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের মাঝে আরো যারা উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে তাদের মাঝে ডঃ এম এ হালিম পাটোয়ারী (চেয়ারম্যান, ইউসিসি গ্রুপ ও সাবেক সিনেট সদস্য,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মো: হুমায়ুন কবির (যুগ্ম সচিব ও সাবেক জেলা প্রশাসক, বগুড়া), জাকির হোসেন (ডেপুটি রেজিস্ট্রার, হাই কোর্ট), আবু ইউসুফ মুহাম্মদ সুলাইমান (বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডেপুটি ডাইরেক্টর) এবং মোশাররফ হোসেন (কুবি থেকে পাশ করে বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি)) হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজেরই গর্বিত ছাত্র। প্রাক্তন ছাত্রদের মাঝে ছাত্রদল এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে আজ অনেকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে সক্রিয় রয়েছে। তাদের মাঝে অন্যতম হলেন মাহমুদ হোসেন মোল্লা (সাবেক চেয়ারম্যান, ৪নং কালঁচো)। এছাড়াও রয়েছে সালাউদ্দিন ফারুক (বর্তমান জিবি সদস্য), ছাত্রজীবনে বলিষ্ঠতা এবং দক্ষতার সহিত নেতৃত্ব দিয়েছিল যা আজো মনে পড়ে। তার ভরাট কণ্ঠের কথা স্মরণ না করলেই নয়। জাসদ ছাত্রলীগে একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন আমার প্রিয় ছাত্র আবুল কালাম আজাদ ও আলমগীর (বাটা)। ৬নং বড়কুলের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামাত নেতা মাওলানা আবু জাফর ও হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের আমার প্রিয় ছাত্র।

বিজ্ঞাপন

কিছু স্মৃতি, কিছু কথা ( ১ম পর্ব)


দীর্ঘ ৩৫ বছরের কর্মজীবনে ছাত্রদলের নেতৃত্বে যাদের দেখেছি মোঃ আবু ইউসুফ ( বিলওয়াই) বর্তমানে পৌরসভায় কর্মরত,আব্দুল লতিফ, আব্দুর রহিম পাটোয়ারী (পরবর্তীতে চেয়ারম্যান, হাটিলা পূর্ব ইউপি), আনিসুর রহমান কানু, আকবর হোসেন (চেয়ারম্যান, ৯নং গন্ধ্রবপুর উত্তর ইউপি), মোঃ সেলিম শাহী দুলাল (চেয়ারম্যান ১০ নং গন্ধ্রবপুর ইউপি), মো. হাসান (৬নং বড়কুল,প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী), রামপুরের আমিনুল ইসলাম ভুইয়া(প্রয়াত), হেলাল উদ্দিন মজুমদার ( আমেরিকা প্রবাসী) , নাজমুল চৌধুরী ( ভিপি, চাঁদপুর কলেজ), মোহাম্মদ হোসেন মৃধা, আব্দুর রহমান মিয়াজি,সাব্বির হোসেন মুন্সী, জমাল উদ্দিন কিরন, মিজানুর রহমান (রান্ধুনীমূড়া),মিজানুর রহমান মিলন (২ নং বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান), ইমাম হোসেন (৬নং বড়কুল, ব্যাংকার), রিপন (সাংবাদিক), বিল্লাল হোসেন (পরবর্তীতে চেয়ারম্যান, ১০ নং গন্ধ্রবপুর ইউপি), আক্তার হোসেন (জিবি সদস্য), মজুমদার বাড়ির সুমন ও সুজন( মনি নাগ) , ফরিদগঞ্জ এর ফারুক আহমেদ খান ,নাজমুল ( বর্তমানে আইনজীবী),নয়ন (পৌরসভায় কর্মরত), আজাদ (বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী), মনিহারের খোকা, মারুফ খান রাসেল এবং আবু ইউসুফ পাটোয়ারী অন্যতম।

ছাত্রদলের নেতাদের মাঝে অনেকেই ভালো বক্তব্য দিতে পারত। কিন্তু আমার কাছে ভাল লাগত আবু ইউসুফ এবং নাজমুল চৌধুরীর বক্তব্য। ছাত্র ভর্তিতে ফারুক আহমেদ খান এর ভূমিকা উল্লেখ করার মত। সে একজন ভালো সংগঠক ও ছিল৷ শিক্ষকদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল চমৎকার।

বিজ্ঞাপন

আনিসুর রহমান কানু আমার প্রিয় ছাত্র ও আমার ভলিবল খেলার সাথী হয়ে আমার পাশে সবসময় থাকত। তার কথাও বিশেষভাবে মনে পড়ে৷ আরো যার কথা এই মূহুর্তে বিশেষ ভাবে মনে পড়ে সে হল আমার এলাকার আমার প্রিয় ছাত্র আমিনুল ইসলাম ভুইয়া। যে পরবর্তীকালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একজন বিশেষ শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত হয়। তার অনুপ্রেরণায় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয় এবং যাদের মাঝে অনেকেই লেখাপড়া শেষ করে দেশে এবং প্রবাসে অবস্থান করছে। রিয়াদ মজুমদার নামের একটি ছেলেকে সে আমার হাতে তুলে দিয়ে তার দেখভালের দায়িত্ব দেয়। সেই ছেলেটি আমাদের নিরাশ করে নি। আজকে সে একজন প্রকৌশলী। সব ই ঠিক আছে কিন্তু আমিন ভুইয়া আজ বেঁচে নেই।অল্প কিছুদিন আগে কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। মেধাবী ছাত্র ছাত্রী ভর্তিতে অনেকেই সহযোগিতা করতেন। তাদের মাঝে এই মূহুর্তে মনে পড়ে প্রয়াত সিদ্দিকুর রহমান স্যার (শাহারাস্তি) এবং বলাখালের ডাক্তার ইসহাক মজুমদারের কথা।

ছাত্রজীবনে আমি খেলাধুলা প্রিয় ছিলাম। আন্তঃ বিভাগ, আন্তঃ হল, আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল, চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বিভাগ শতাব্দী ক্লাবের ফুটবল খেলোয়ার এবং ভলিবলে প্রথম বাংলাদেশ অলিম্পিক (১৯৭৭) পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা আমার আছে। কর্মজীবনের প্রথম ভাগেও আমি খেলাধূলা চর্চায় সক্রিয় ছিলাম। যে কারণে হাজীগঞ্জ এবং হাজীগঞ্জ কলেজের ঐ সময়কার অনেক খেলোয়ার ছাত্রদের সাথে আমার সখ্যতা ছিলে অত্যন্ত নিবিড়। অপ্রিয় হলেও সত্য শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রায় এক যুগের মত সময় আমি কলেজের অবৈতনিক ক্রীড়া শিক্ষকের দায়িত্ব ও পালন করি। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকেই আমি চলে যেতাম ছাত্র কমন রুমে। সেখানে টেবিল টেনিস খেলায় আমার পার্টনার ছিল টোরাগরের ইউসুফ, বড়কুলের কৃষ্ণা এবং ধড্ডার ছুট্টু চৌধুরী। শেষোক্ত দুইজনের সাথে কোনদিন ও জিততে না পারলেও ইউসুফের সাথে অহরহই জিততাম। কারণ কৃষ্ণা ও ছুট্টু ছিল ঐসময়কার জেলা পর্যায়ের সেরা খেলোয়ার।

খেলার উপর লিখতে গেলেই ১৯৮৬ সনের হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের আন্তঃ কলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রতিযোগীতার স্থান ছিল ফেনী স্টেডিয়াম। আমি ছিলাম টিম ম্যানেজার৷ প্র‍য়াত সাজু ভুইয়া সাবেক প্রথম শ্রেণির ফুটবলার ছিলেন কলেজ টিমের কোচ। কলেজের মাঠটি তখনও এত বিশাল ছিল না। ছোট মাঠে প্র‍্যাক্টিসের কারণেই ফেনী স্টেডিয়ামে আমাদের খেলোয়ার রা প্রথম দিনই চাঁদপুর কলেজের সাথে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়। যা আমাকে ভীষণ ভাবে আহত করে। হাজীগঞ্জ কলেজের ফুটবল খেলোয়ারদের মাঝে উল্লেখযোগ্য টোরাগরের শাহ (পরবর্তীতে ঢাকা ১ম বিভাগে ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করে বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা ক্রিয়া পরিষদের সাথে জড়িত), আমার পকেটের অনেক পয়সা সে খেয়েছে। বিনয়ী সাহা এ সকল কথা এখনও দেখা হলে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ ও স্বীকার করে। ফুটবলে আরো যারা উল্লেখযোগ্য অবস্থানে ছিল সৈয়দ ওয়ালি উদ্দিন খোকা,সমর সাহা, আব্দুর রহমান(টোরাগর), মকবুল হোসেন ( পরবর্তীতে ঢাকায় প্রথম বিভাগের ফুটবল খেলোয়াড়), জাহাঙ্গীর মজুমদার,টিপু (ইতালী প্রবাসী), জামাল হোসেন (টোরাগর), ইমাম মজুমদার,গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, বোরহান মজুমদার, ছুট্টু চৌধুরী, হাসেম ( টোরাগর) ও শাহ এর ছোট ভাই শাহ নেওয়াজ অন্যতম।

ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও খেলাধুলায় যথেষ্ট আগ্রহী এবং অনেকেই পারদর্শী ছিল। আশির দশকে ছাত্রীরা বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হাই জাম্প এবং লং জাম্পের মত প্রতিযোগিতায় ও অংশগ্রহণ করত।

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ: কিছু স্মৃতি কিছু কথা (তৃতীয় পর্ব)


খেলাধুলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ জন্মলগ্ন থেকেই এগিয়ে ছিল । আশির দশকের প্রথম পর্যায়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধশালী করার প্রয়োজনে হাজীগঞ্জ এর বিশিষ্ট শিল্পী প্রয়াত কাশেম কমিশনার, গিয়াস উদ্দিন গাজী এবং হারমনিয়াম বাদক মরণ দাস কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করত। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ ভাবে অনুপ্রানিত হত। যার ধারাবাহিকতায় কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে অনেকেই ভালো শিল্পী হতে সক্ষম হয়েছিল। হাজীগঞ্জের গুণী শিল্পীদের মাঝে আমার প্রিয় শিল্পী মানিক রায় হাজীগঞ্জ কলেজেরই সৃষ্টি। বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী ঋষিজ শিল্প গোষ্ঠীর কর্ণধার ফকির আলমগীর কলেজের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আমার মনে পরে, তার উপস্থিতিতে কলেজের একজন শিল্পী ভরাট কন্ঠে যখন ফকির আলমগীরের সেই বিখ্যাত গান “মায়ের একধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম” পরিবেশন করে তা মনোযোগের সহিত শ্রবণ করে তিনি তার পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন ,” নিয়মিত অনুশীলন কর,ভাল করতে পারবে। তোমার কন্ঠে যাদু আছে।” সে আর কেউ নয়, সে আমাদের প্রিয় আশীষ পাল। আমার বিদায়ের বৎসরে একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রয়োজনে ছাত্র ছাত্রীদের প্রশিক্ষণের জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলাম আমার প্রিয় শিল্পী প্রিয় ছাত্র মানিক রায় কে। প্রশিক্ষনের পরে মানিক রায় কে নিয়ে অধ্যক্ষ মিহির কান্তি রায়ের কক্ষে শিক্ষকদের উপস্তিতিতে তাকে একটি গান গাওয়ার অনুরোধ করি। সে একটি গান শুরু করলে, আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে একটি বিখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে বলি। গানটি হলো, “আমার সকল দুখের প্রদীপ”। সে একটু হেসে দরদ দিয়ে গানটি পরিবেশন করে। রবীন্দ্র ভক্ত অধ্যক্ষ সহ উপস্থিত সবাই আমরা প্রানভরে গানটি উপভোগ করি এবং কিছু সময়ের জন্য গানের মাঝে হারিয়ে যাই। সে এক অপূর্ব অনুভূতি। ধন্যবাদ মানিক রায় কে।

এ পর্যায়ে হাজীগঞ্জ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার, আইনজীবি ও অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত হয়ে কলেজকে গৌরবান্বিত করেছে তাদের মাঝে স্মরণীয় কয়েকজন হল শফিউল ইসলাম সোহাগ ( বৃটিশ হাই কমিশনে সচিব হিসেবে কর্মরত), সুমন সাহা (প্রকৌশলী, বুয়েট), ফাতেমা চৌধুরী (প্রকৌশলী, বুয়েট),শফিকুল ইসলাম, (প্রকৌশলী, বুয়েট), রিয়াজ পারভেজ জুয়েল ( প্রকৌশলী, বুয়েট), রাম কৃষ্ণ রবি দাস ( প্রকৌশলী, বুয়েট), আসিফ মাহমুদ ( প্রকৌশলী, বুয়েট), মামুন হোসেন (প্রকৌশলী, রুয়েট), আমিনুল ইসলাম ( প্রকৌশলী, রুয়েট), বিজয় পোদ্দার ( প্রকৌশলী, রুয়েট), সালাউদ্দিন আহমেদ ( প্রকৌশলী, রুয়েট), প্রনব দাস ( প্রকৌশলী, রুয়েট), প্রিয়াংকা দে ( প্রকৌশলী, রুয়েট), নিলয় সাহা( প্রকৌশলী, কুয়েট), সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টি ( প্রকৌশলী, চুয়েট), সাদ্দাম হোসেন ( প্রকৌশলী, চুয়েট), সুজিত কুমার চন্দ ( প্রকৌশলী, চুয়েট), রামপুরের রিয়াদ মজুমদার( প্রকৌশলী), সাইফুল্লাহ মহিউদ্দিন (অনুবিজ্ঞানী, মস্কো),অমিতাভ বণিক (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার) । উল্লেখ্য প্রকৌশলীদের অনেকেই সরকারী-বেসরকারি, কেউবা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থায় দায়িত্বশীল পদে কর্মরত আছে৷ এরা আজ রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে যা হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ও আমার অহংকার।

এখন লিখব হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়ন করে পরবর্তীতে সরকারি বেসরকারি মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাশ করে যারা ডাক্তার হল তাদের কথা। সুলতানা ফেরদৌসী (চমেক), এইচ এম বেলাল (খুমেক), তানজিনা আক্তার (নোমেক), রূপা সাহা (চমেক), ফাতেমা তুজ জোহরা (বগুড়া মেডিকেল কলেজ),জাহিদ হোসেন (ময়মনসিংহ মেডিকেল), নুসরাত জাহান(ডেন্টাল), মাজহারুল ইসলাম তারেক (হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ), রবিউল ইসলাম (পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ), মারিয়া রহমান ( ডেন্টাল চট্টগ্রাম), তানভির আহমেদ (বরিশাল মেডিকেল কলেজ), বাহাউদ্দীন বাহার (শাহাবুদ্দিন মেডিকেল) নুসরাত (ইস্টার্ণ মেডিকেল),তামান্না তমিস্রা (ইস্টার্ন মেডিকেল),যুথি (ইস্টার্ন মেডিকেল)।উল্লেখিত ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে অনেকেই সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত এবং দু একজন উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপ্তির জন্য লেখাপড়া করছে।

শুকরান-নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

কলেজের কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে আরো যারা উল্লেখযোগ্য তাদের মাঝে অন্যতম পারমিতা মন্ডল (নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), জান্নাতুল নাইম শিল্পী (বে.বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক), তামান্না ফেরদৌসী (ফার্মেসি বিভাগ, জবি), বিনয় সংকর দাস (বায়ো কেমিস্ট্রি ঢা.বি.), অনিক সাহা (অর্থনীতি, জাবি), সৌমিক বণিক (লোক প্রশাসন, ঢাবি), শামীম আহমেদ ( রসায়ন, রাবি), প্রিয়াংকা সাহা (রসায়ন, কুবি), শান্তা মজুমদার (রসায়ন, কুবি),ইসমাইল হোসেন (বিশিষ্ট ব্যাংকার), ইমাম হোসেন (৬ নং বড়কুল, বিশিষ্ট ব্যাংকার), মোহাম্মদ হাসান (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ৬নং বড়কুল), জুনাব ই জাকির তানভির (অর্থনীতি, কুবি), অধ্যাপক রতন সাহেবের একমাত্র সন্তান পিয়াস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য চীনে অধ্যয়নরত, নুসরাত জাহান, নওশিন সাহরিন তমি (শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), তাহসিন তাকিয়া মিম (গার্হস্থ্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)।

এভাবে শত সহস্র ছাত্র ছাত্রী হাজীগঞ্জ কলেজের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যারা সমাজ জীবনে,রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের সবার কথা এই ক্ষুদ্র পরিসরে উল্ল্যেখ করা সহজ নয় তাছাড়া স্মৃতির ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কাউকে বিশেষ ভাবে আলোকিত বা কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিয়োজন করা আজকের এই লেখার উদ্দ্যেশ্য নয়। আগামী প্রজন্মের কাছে হাজীগঞ্জ কলেজের গৌরবগাঁথা যে অধ্যায় রয়েছে তা তুলে ধরাই আমার লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য। এ লেখার মাঝে বর্তমান এবং আগামী প্রজন্ম যদি সামান্যতম অনুপ্রাণিত হয় তবেই আমার এই লেখা কিছুটা হলেও স্বার্থকতা পাবে।

আগামী পর্বে সম্মানিত গভার্নিং বডি, কর্মকর্তা কর্মচারী, মুক্তিযুদ্ধ, জনতার দাবী এবং আমার কথা দিয়ে শেষ পর্ব পড়তে পপুলার বিডিনিউজ ডটকমের সাথে থাকুন।

চিলড্রেন পার্ক

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
কচুয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ এম. আবদুল হালিম বিচারিক ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে আসছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ হাজীগঞ্জে আই বি ডব্লিউ এফ সংস্থার সভা  ভারতের বিপক্ষে চাপে থাকাটাই আমাদের জন্য সুবিধাজনক বলাখাল কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালিত  ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন তামিম সৌদি ফেরত প্রবাসীদের ৫ দাবি জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না বিচারপতি মানিকের কখন বুঝবেন সম্পর্কে বিরতি প্রয়োজন রায়চোঁ সুন্নীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে জসনে জুলুস অনুষ্ঠিত হাইমচরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী নাজির এখন প্যানেল চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা দিলো আ.লীগ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা যুবক ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হাজীগঞ্জে নবাগত ওসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জামায়াতের নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর জেলা সমিতি ভবন অবরোধ ছাত্র-জনতার চাঁবিপ্রবির দুই শিক্ষকের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাখ্যান আমরা সব জায়গায় সংস্কার করব : চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বিড়ালের বিদায় ইলিশ চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডকে কাজ করার আহ্বান