ডা. সাবরিনার অপরাধের অন্তরালে শাহরাস্তির ডা. মিলন
জাতীয় হৃদরোগ ইনসটিটিউট এর কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের একটি ইউনিটের দায়িত্বে আছেন ডাঃ কামরুল হাসান মিলন। তার অধীনেই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন ডাঃ সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে ডাঃ মিলনের ছত্রছায়াই অনিয়মের চূড়ায় উঠেছেন ডাঃ সাবরিনা। সাবরিনা ও মিলনের কর্মকান্ড অনুসন্ধানে টানা ৩ দিন হৃদরোগ ইনসটিটিউটে অনুসন্ধান চালায় বেরসাকির টেলিভিশন সময় সংবাদ।
বিএএম’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ কামরুল হাসান মিলন খুবই দাপটশালী ব্যাক্তি। তিনি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার নুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গণমাধ্যমে তার এই কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের বিষয়ে সরাসরি হাসপাতালের কেউ মুখ খুলতে রাজি না হলেও অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। অভিযোগ রয়েছে দিনের পর দিন কাজ না করেই নিতেন বেতন। ডাঃ মিলনের সুনজরে থাকায় অনপুস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় উঠেযেত নাম।
সাবরিনা মিলনের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেনি স্বামী আরিফ চৌধুরীও। এ নিয়ে হাসপাতালে ভিতরেই মিলনের সাথে বিবাধে জড়ায় জেকেজির কর্ণধার আরিফ চৌধুরী। এই ঘটনায় জিডিও হয় থানায়।
এই বিষয়ে ডাঃ সাবরিনা সময় সংবাদকে বলেন, এই ধরণের যদি কোন ঘটনা হত, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষইত আমার বিরুদ্ধে মামলা করতো।
অনুসন্ধানে কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ প্রধানের কক্ষটি দখল করে আছে ডাঃ মিলন এবং তার নামের পাশেও লিখে রেখেছেন বিভাগীয় প্রধান। বাধ্য হয়ে বর্তমান কার্ডিয়াক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রামাপদ সরকার তার কক্ষের সামনে ছোট্ট একটি ন্যামপ্লেট লাগিয়ে কাজ করছেন।
অধ্যাপক রামাপদ সরকার বলেন, ওই সাইনবোর্ড ওই কক্ষের সামানেই লাগানো। এটি খোলা হয়নি।
এই বিষয়ে কথা বলতে রাজিন হননি ডাঃ মিলন। তিনি বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি গনমাধ্যমে কোন কথা বলতে পারবো না।
এই বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনসটিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. খ. সহিদ হোসেন বলেন, সাইনবোর্ডটি আমার চোখে পড়েনি। যদি লাগিয়ে থাকে আমি ব্যবস্থা নিব।
চোখের সামনে অনিয়ম থাকলেও লিখিত অভিযোগের অপেক্ষায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল প্রশাসন। (সময় সংবাদ)