সাংসদের দেয়া বসতঘরে ফাটল, অনিয়মকারীদের দায় নিতে হবে
হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া কলেজ শিক্ষার্থী শ্রাবণীকে সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের দেয়া উপহার সেমি পাকা ঘরের ফাটল ধরেছে, পড়ছে বৃষ্টির পানি। ঠিকাদারের অনিয়মে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শ্রাবণী ও তার পরিবার।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম শুক্রবার বিকালে পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে বলেন, সেমিপাকা ঘরটি নির্মাণ কাজে যারা তদারকি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে এই দায়ভার নিতে হবে।
শুক্রবার বিকালে শ্রাবণী বলেন, রান্নাঘরটি পুরোদমে ফাটল ধরে চৌচির অবস্থা। ফ্লোর ফ্লোর ফাটল ধরেছে। বসতঘরের এবং উপরের টিনের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। উপহার পাওয়া ঘরটিতে এখন মা বাবাকে নিয়ে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বসত ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে পড়তে পারে বলেও শ্রাবণী আশঙ্কা করছেন।
জানা গেছে, গত ফ্রেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে শ্রাবণী ও তার পরিববার এই নতুন বসতঘনে উঠেন। চারমাসের মাত্রায় নির্মাণাধিন বসত ঘরটি ফাটল ধরেছে।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, শ্রাবণীর বসত ঘরটি ফাটলের বিষয় আমার জানা ছিল না। সরেজমিনে গিয়ে দেখে দ্রুত মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ভবনটি করার আগে সেখানে গর্ত ছিল। হয়তো একারণে মাটি দেবে গিয়ে ফাটল ধরেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, শ্রাবণীর বসতঘরটি নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। তৎকালীন সময়ে প্রকল্প কর্মকর্তা অন্যত্র বদলী হয়ে চলে গেছেন।