চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দ্ব, সেবা পাচ্ছে না গ্রামবাসী
হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড পাতানিশ গ্রাম। ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ মহিনুল হক দুলাল । দীর্ঘ তিন মাস ধরে তিনি নিজে বেতন পাচ্ছেন না। করোনা কালীন সময়ে কোন ত্রাণ সামগ্রী তার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়নি। সম্প্রতি দুইটি বরাদ্দের ১১ পরিবার করে ২২ পরিবারের চাউল পড়ে আছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়।
ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটুর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায় এখন গ্রামবাসীরা পাচ্ছেন না সেবা।
জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটু ওই সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
ওই অভিযোগে উল্লেখ করা রয়েছে, দুলাল মেম্বার নিয়মিত পরিষদে আসছেন না এবং করোনাকালীন সময়ে কোন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের না আসায় তার বেতন-ভাতা স্থগিত করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মোঃ মহিনুল হক দুলাল বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে আমার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র শুরু করে। সর্বশেষ তিনি আমার বেতন ভাতা বন্ধের জন্য আবেদন করে এবং আমার গ্রামের সরকারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ বন্ধ রেখেছেন। আমাকে না জানিয়ে মহিলা সদস্যকে দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়েছেন। এখন আমার মাধ্যমে যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ হওয়ার কথা সেগুলোর কিছু ত্রাণ ইউনিয়ন পরিষদের পড়ে আছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইয়াকুব বলেন, চেয়ারম্যানের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মেম্বারকে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানো হচ্ছে না এবং মেম্বারের বেতন বন্ধ রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটু বলেন, মেম্বার দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। কোন নোটিশে স্বাক্ষর করেন না। তার অনুপস্থিতিতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।
হাজিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগটি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে ওই বিষয়ে নির্দেশনা আসলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।