মেঘনা-ধনাগোদা প্রকল্পের বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করলেন রুহুল এমপি
বৃহস্পতিবার ও বুধবার মতলব উত্তর উপজেলার বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধটির বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নুরুল আমিন রুহুল। জানা গেছে, গত বুধ ও আজ বৃহস্পতিবার বেড়িবাঁধটির এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ মো. নুরুল আমিন রুহুল এবং কুমিল্লা পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নকিব আল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এম জহিরুল হায়াত, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। পরিদর্শনকালে সাংসদ ও প্রকৌশলীরা বেড়িবাঁধটির ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে বেশ কিছু বালির জিও ব্যাগ ফেলেন। ঘুরে দেখা গেছে, সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধটির সিপাইকান্দি, ঠেটালিয়া, আমিরাবাজ, এখলাশপুর, মোহনপুর ও শিকিরচর এলাকা সেখানে মেঘনা ও ধনাগোদার পানির চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বুক ছাপিয়ে নদীর পানি বেড়িবাঁধটির ওপরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। পানির উচ্চতা আরও কিছুটা বাড়লে বাঁধ গড়িয়ে পানি ভেতরে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানির চাপে কিছু কিছু অংশে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। সম্ভাব্য ধস ঠেকাতে সেখানে বালির ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। সেচ প্রকল্পটির ফতেপুর-সিপাইকান্দি-ঠেটালিয়া এলাকার পনি ব্যবহারকারী দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী বলেন, মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর পানির চাপ যতই বাড়ছে বেড়িবাঁধটিও ততই হুমকির মুখে পড়ছে। বাঁধ রক্ষায় এখনই কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বাঁধটি। এ নিয়ে এলাকার কৃষকেরাও রয়েছেন শঙ্কায়। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, মেঘনা-ধনাগোদার পানি মূল বেড়িবাঁধের উচ্চতা থেকে এখনো ১ দশমিক ৮০ মিটার দূরে আছে। পানির চাপ আর না বাড়লে বাঁধের সমস্যা হবে না। পাউবোর প্রকৌশলীরা একাধিকবার বাঁধের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।