দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ নিয়মিত তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ইসলামিক নানা বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি তার ২১৪তম পর্বে নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হন। সেখান থেকে বাছাই করে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরা হলো।
তরিকুল ইসলাম রাফি নামে একজন প্রশ্ন করেন, অল্প বয়সে বিয়ে করা যাবে কি না? অল্প বয়সে বিয়ে করা নিয়ে অভিভাবকদের কিছু বলেন।
এই প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে বলতে উপযুক্ত হওয়ার পর বিয়ে দিতে হবে। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলেই। শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক বলতে, বালেগ হয়ে যাওয়া, তার স্বপ্নদোষ শুরু হওয়া এবং তার ভেতরে যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হওয়া। প্রাপ্তবয়স্ক হলে সন্তানদের উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী পেলে বাবা-মাকে বিবাহ দেয়ার উদ্যোগ নিতে ইসলাম নির্দেশ করেছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্কারভাবে অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন, তারা যদি এটা না করেন অর্থাৎ সন্তানদের বিয়ে না দেন তাহলে সমাজে নানারকম ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়বে, ব্যত্যয় ঘটবে। সেগুলোর দায় কিন্তু তারা এড়াতে পারবেন না। তাই আল্লাহকে তাদের ভয় করা উচিত। সেই সঙ্গে সন্তানরাও, বিশেষ করে ছেলেরা তাদের বিবাহের জন্য মোহরানার টাকা জোগাড় করা, তারা শিক্ষার্থী থাকলে পাশাপাশি টাকা উপার্জন করা। এই কাজগুলো তাদের করা উচিত। যাতে করে বিবাহের উপলক্ষ্য বা সুযোগ তৈরি হয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ,
বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আলোচক।
এএসসি/নি